নিজস্ব প্রতিবেদক
সাভারের একটি হত্যা মামলায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফির আবারও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস উদ্দিনের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক আব্দুল্লা বিশ্বাস। আসামি পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে, হাজারীবাগ থানার অপহরণ মামলায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফির আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা ৪৫ মিনিটে তাকে আদালতে আনা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান ৮ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আব্দুল্লাহিল কাফিকে আটক করা হয়। একই দিনে তার বিরুদ্ধে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগে আশুলিয়া থানায় একটি এবং হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী অংশে সশস্ত্র অবস্থায় পাশাপাশি অবস্থান নিয়ে মহাসড়কের ফুটওভার ব্রিজের নিচে অবস্থানরত ছাত্র জনতার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং উক্ত আন্দোলনকারীর সঙ্গে অবস্থানরত শাইখ আস-হা-বুল ইয়ামিনকে ধরে টেনে পুলিশের সাঁজোয়া যানের কাছে নিয়ে বুকের বামপাশে গুলি করে। বন্দুকের গুলিতে ইয়ামিনের বুকের বামপাশে অসংখ্য গুলির স্প্লিন্টার লেগে বামপাশ ঝাঁঝরা হয়ে যায়।
এমতাবস্থায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ইয়ামিনকে টেনে পুলিশের সাঁজোয়া যানের ওপরে ফেলে রেখে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে ভয় দেখানোর জন্য গড়িটি এপাশ থেকে ও পাশ প্রদক্ষিণ করতে থাকেন। কিছু সময় পর চলন্ত গাড়ির ছাদ থেকে ইয়ামিনকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রায় মৃত অবস্থায় রাস্তায়
ফেলে দেয় এবং সাঁজোয়া যানের ভেতর থেকে একজন পুলিশ সদস্যকে বের করে ইয়ামিনের পায়ে পুনরায় গুলির নির্দেশ দেয়। ওই পুলিশ সদস্য ইয়ামিনকে মৃত ভেবে পায়ে গুলি না করে পিচ ঢালা রাস্তার ওপরের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে নিয়ে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেয়।
Discussion about this post