আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন। জামিনে জেল থেকে বের হওয়ার চার দিনের মাথায় তিনি পদত্যাগ করেন। কেজরিওয়াল অবশ্য এর আগেই দিল্লিতে আয়োজিত দলীয় এক অনুষ্ঠানে পদত্যাগের এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার সঙ্গে তার বাসভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষাৎ করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল পদত্যাগ করেন। এ সময় তার উত্তরসূরি অর্থাৎ দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী অতীশি এবং সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
একই দিনে আম আদমি পার্টির আইনপ্রণেতাদের এক বৈঠকে দিল্লির পরবর্তী নতুন মুখ্যমন্ত্রী অতীশি মারলেনার নাম ঘোষণা করেন দলটির প্রধান কেজরিওয়াল। খবর এনডিটিভির।
কেজরিওয়াল বলেন, জনগণ রায় না দেওয়া পর্যন্ত আমি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না। আমি আইনি আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি। এখন জনতার আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেতে চাই।
এর আগে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৬ মাস কারাবন্দি থাকার পর গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জামিনে মুক্তি পান কেজরিওয়াল। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি অতীশিকে আইনসভায় দলের নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে।
অতীশি বর্তমানে দিল্লি সরকারের শিক্ষা ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী। দিল্লির স্কুলগুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে ব্যাপকভাবে কাজ করেছেন অতীশি।
গত ১৫ আগস্ট দিল্লি সরকারের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তেরঙ্গা (পতাকা) উত্তোলনের জন্য অতীশিকে বেছে নিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। এ থেকে বোঝা যায়, তিনি দলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
দিল্লির ক্ষমতাসীন দল এএপির ভেতরে বিশাল পরিবর্তন দেখা দিলে তিনি পাদপ্রদীপের আলোয় এসে পড়েন। মূলত প্রবীণ নেতা মনীশ সিসোদিয়া ও সত্যেন্দ্র জৈন আইনি সমস্যায় জড়িয়ে পদত্যাগ করেন। সিসোদিয়া ও জৈনের গ্রেপ্তার ও পদত্যাগের দলে নেতৃত্বে শূন্যতা দেখা দেয়।
৪৩ বছর বয়সী অতীশির শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি সরকারি কাজে তার অভিজ্ঞতা তাকে সুপরিচিত করেছে। তার ক্যারিয়ার শুরু তৃণমূল স্তরের সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে। তারপর তিনি এএপিতে যোগ দিয়ে দ্রুত সামনে অগ্রসর হতে শুরু করেন। শিক্ষা সংস্কারক হিসেবে তার ভূমিকা তাকে জাতীয় স্বীকৃতি এনে দেয়। দিল্লির পানি সংকট ও নারীদের সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে তিনি জনসম্মুখে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলেন।
Discussion about this post