নিজস্ব প্রতিবেদক
খুলনায় বেসামাল হয়ে উঠেছে ডিমের বাজার। পাইকারি ১০০ ডিম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৭০ টাকায়। আর খুচরা প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকায়। যদিও সরকার প্রতি পিস ডিমের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। তবে বাজারে এর কোনো প্রতিফলন নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনায় প্রতিদিন ৪ লাখ পিস ডিমের প্রয়োজন হয়। জেলায় উৎপাদন হয় ১ লাখ ৭৫ হাজার পিসের মতো। যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। চাহিদা মেটাতে পার্শ্ববর্তী জেলা বাগেরহাট ও রাজশাহী থেকে ডিম আনতে হচ্ছে।
পোল্ট্রি মালিক সমিতির মহাসচিব ও খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী এস এম সোহরাব হোসেন বলেন, খুলনায় বাজার ব্যবস্থাপনা নেই বললেই চলে। এছাড়া বন্যার পানিতে জেলার ৬০টি ফার্ম তলিয়ে গেছে। ফলে ডিমের উৎপাদন কমে গেছে। এতে বাইরে থেকে প্রায় সোয়া ২ লাখ পিসের মতো ডিম আমদানি করতে হচ্ছে।
ডিমের দাম বৃদ্ধির জন্য দেশি-বিদেশি কয়েকটি কোম্পানিকে দায়ী করে তিনি বলেন, এ সকল কোম্পানি দেশে বাচ্চা উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারে ডিম সরবরাহ করে থাকে। ডিমের দামও তারা ইচ্ছেমত বাড়ায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বড় বড় কোম্পানিগুলো সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেলেও মাঠ পর্যায়ের খামারিরা সেটা পান না। এ সময় ডিমের দাম কমানোর জন্য মুরগির খাবার ও বাচ্চার দাম কমানোর পাশাপাশি খামার বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
নগরীর ডালমিল এলাকার বাসিন্দা ওসমান গণি বলেন, ভারত থেকে ডিম আমদানি করা হলেও খুলনায় তার কোনো প্রভাব পড়েনি। তাহলে ভারত থেকে ডিম আমদানি করে লাভ কী? প্রতি পিস ডিম (বাদামি রঙের) ১৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
ডিম ব্যবসায়ী রাসেল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ডিমের বাজার চড়া। মোবাইলফোনের মাধ্যমে সিন্ডিকেট চক্র ডিমের দাম নির্ধারণ করে থাকে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
পাইকগাছা উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকার খামারি প্রতিষ রায় বলেন, এক মাসের ব্যবধানে মুরগীর খাবার বস্তায় ১০০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া একদিনের বাচ্চা ৯৫-১০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। যা ডিমের দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
Discussion about this post