নিজস্ব প্রতিবেদক
গড়িমসি না করে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
ঢাকার জুরাইনে বিক্রমপুর প্লাজার সামনে শনিবার (১৯ অক্টোবর) ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা ১৬ বছর যুদ্ধ করেছি। আমাদের কথা যেই ক্ষমতা আসুক, জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
দেশের প্রতিটি কারাগার শেখ হাসিনার আয়নাঘর ছিল দাবি করে তিনি বলেন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্রের পক্ষে যারা কথা বলবে, তাদের সেই ঘরে বন্দি করে রাখা হতো। যারাই গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছেন, তাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চলেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকারের দুর্বৃত্তদের কালো টাকা এখনও সমাজের আনাচে-কানাচে গভীরে ছড়িয়ে আছে। তারা নাশকতা করে যাচ্ছে, করবে। কারণ, সরকারি সংস্থায় স্বৈরাচারের লোক রয়েছে, তারা এসব করবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, আপনারা যদি হাসিনার দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়গুলোতে বসান, তাহলে নাশকতা তো হবেই। এদের বসানোর কারণেই স্বাধীনতার পক্ষের লোকেরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। যার কারণে নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে।
তিনি দাবি করেন, রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি রাতে ৫০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয়। অন্তর্বর্তী সরকার এতদিনেও সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছেন না। জনগণ তো বলবেই, শেখ হাসিনার সময়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়তো, এখনও বাড়ছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ভয়ংকর ডেঙ্গু শেখ হাসিনা বিদায় নিয়েছেন। আরেক ডেঙ্গু হাজির হয়েছে। শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য জনসেবা ছিল না, ছিল জনগণের টাকা মেরে বিদেশে পাচার করা।
Discussion about this post