নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারশনের (বাফুফে) সভাপতির চেয়ারটা দখল করে রেখেছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। তবে এবার ওই চেয়ারে বসলেন তাবিথ আউয়াল। বাফুফে নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১২৩ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইমরুল হাসান।
আর সহসভাপতি পদে বাজিমাত করেছেন শাহরিয়ার জাহেদী। তার সঙ্গী জয়ী হয়েছেন ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, সাব্বির আহমেদ আরিফ ও ফাহাদ করিম। তবে হেরে গেছেন সাবেক তারকা ফুটবলার ও দীর্ঘদিন ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত দুই তারকা ফুটবলার সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির ও শফিকুল ইসলাম মানিক।
প্রথম সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়া যশোরের শুমসুল হুদা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার জাহেদী পেয়েছেন ১১৫ ভোট। বাফুফে সহসভাপতি নির্বাচনে এর আগে কেউ ১০০ ভোট পাননি। জাহেদীর একাডেমি থেকে জাতীয় দল ও প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলছেন অনেকে। তৃণমূলের এই সংগঠক এবার বাফুফে নির্বাচনে বাজিমাত করেছেন।
দ্বিতীয় হওয়া লক্ষীপুর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাউন্সিলর ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি পেয়েছেন ১০৮ ভোট। তিনি বিএনপির সাবেক এমপি শহিদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানির বড় ভাই। ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষ পর্যায়ে পরিচিতি না থাকলেও তিনি ভোটে দ্বিতীয় হয়েছেন৷
ব্রাদার্স ইউনিয়নের সদস্য সচিব সাব্বির আরেফ ৯০ ভোট পেয়ে তৃতীয় ও ফাহাদ করিম ৮৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন। অন্যদিকে কিংবদন্তি ফুটবলার সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির ৬৬ এবং আরেক সাবেক ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক পেয়েছেন ৪২ ভোট।
১৩৩ ভোটারের মধ্যে ১২৮ জন কাউন্সিলর ভোট দিয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে একটি ব্যালট বাদ হয়েছে। এখন সদস্য পদের গণনা চলছে। এই গণনা শেষ হতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে৷
এদিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণার শুরুতেই নির্বাচন কমিশনার সভাপতি হিসেবে তাবিথ আউয়ালের নাম ঘোষণা করেন। তিনি ১২৮ ভোটের মধ্যে ১২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী দিনাজপুরের তৃণমূল সংগঠক এ এফ এম মিজানুর রহমান চৌধুরী পান ৫টি ভোট।
Discussion about this post