নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেট মহানগরের শিবগঞ্জ এলাকার বেসরকারি মালিকানাধীন ন্যাশনাল ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকার পরেও চাহিদা মতো টাকা তুলতে না পারায় গেটে তালা দিয়েছেন ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। এতে ব্যাংকের কর্মকর্তারা ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে শাহপরাণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় শতাধিক গ্রাহক ব্যাংকের গেটে বিক্ষোভ করেন। এরও আগে গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) গ্রাহকরা টাকা না পেয়ে সিলেটের গোলাপগঞ্জের ন্যাশনাল ব্যাংকের আরও একটি শাখায় তালা লাগিয়ে দেন।শিবগঞ্জ এলাকার ন্যাশনাল ব্যাংক গ্রাহকরা জানান, ন্যাশনাল ব্যাংকের শিবগঞ্জ ব্রাঞ্চে বেশ কয়েকদিন থেকে গ্রাহকেরা টাকা তুলতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আজ বেলা ১১টার দিকে ব্যাংকে গিয়ে একাউন্ট থেকে নিজেদের চাহিদা মতো টাকা তুলতে না পেরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করেন গ্রাহকরা। এ সময় প্রয়োজনীয় আশ্বাসের দাবিতে ফুঁসে ওঠেন গ্রাহকরা। গ্রাহকরা বিভিন্ন অ্যামাউন্টের চেক নিয়ে নগদ উত্তোলনের জন্য গেলে তাদের দেয়া হচ্ছে ৫-১০ হাজার টাকা। কারণ জানতে চাইলে বলা হচ্ছে, ব্যাংকে টাকার সংকট রয়েছে। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যাংকের গেটে তালা ঝুলানো হয়েছে।
ফয়জুল কয়েস নামে ব্যাংকের এক গ্রাহক বলেন, টাকা জমা নিচ্ছেন কিন্তু গ্রাহকের টাকা দিচ্ছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কেউ ৫ লাখ জমা দিচ্ছেন। কিন্তু টাকা তুলতে গেলে বলে টাকা নাই। চিকিৎসার জন্য টাকা তুলতে পারছেন না গ্রাহকেরা। এটা তাদের সঙ্গে প্রতারণা।
গ্রাহক আলম জুবের বলেন, নয় লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র থেকে জমা হয়েছে। কিন্তু কোনো টাকা তুলতে পারছি না। ব্যাংকে আসলে বলছে টাকা নাই। বিদেশ থেকেও টাকা পাঠালে টাকা দেওয়া হচ্ছে না গ্রাহকের। আমরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চাই।
ন্যাশনাল ব্যাংকের শিবগঞ্জ ব্রাঞ্চের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ম্যানেজার সাব্বির হানান জানান, গ্রাহকদের চাহিদা মতো টাকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ ব্যাংকের শাখাগুলোতে পর্যাপ্ত টাকা নেই। এ জন্য গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। আশা করি দ্রুত এই সংকটের সমাধান হবে।
শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রাহকদের বুঝিয়ে গেটের তালা খোলা হয়েছে। ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডির সাথে কথা হয়েছে। তিনি টাকা পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
Discussion about this post