নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবে আপনারা অনেক বেশি ভূমিকা পালন করেছেন। আপনাদের ধন্যবাদ দিতে পারিনি, আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
শনিবার ঢামেকের শহীদ ডা. মিলন অডিটোরিয়ামে ‘‘জুলাই বিপ্লবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল’’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার পর যখন কিছুটা আতঙ্কে ছিলাম, তখন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের প্রেরণা জুগিয়েছিল।’
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘১৫ জুলাই যখন আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করি, তখন খুবই আতঙ্কে ছিলাম। ১৬ জুলাই সকালে দেখি রাজু ভাস্কর্যে ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে এসেছেন, তাদের দেখে আমরা অনুপ্রেরণা পাই।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিপ্লবে ঢামেকের বড় অবদান থাকলেও ৫ আগস্টের পরে আমরা সেভাবে স্বীকৃতি দিতে পারিনি। জাতির সামনে এ অবদান তুলে ধরতেই আজকের এ আয়োজন।’
সব পেশায় রাজনীতি ঢুকে আছে মন্তব্য করে তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি হিসেবে নয়, বরং দলীয় পরিচয়ে থাকতে পছন্দ করি। আমরা দেখেছি, আওয়ামী লীগ প্রতিটি খাতে রাজনীতি প্রবেশ করিয়েছে। আর স্বাস্থ্য খাতকে পুরোপুরি কব্জায় নিয়েছে। আমরা চিকিৎসা খাতে আর কোনো রাজনীতি চাই না।’
অনুষ্ঠানে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. কামরুল আলম, ঢাকা মেডিকেলের অর্থপেডিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে। এ সময় আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা সেমিনারে নানা স্মৃতি তুলে ধরেন।
Discussion about this post