স্পোর্টস ডেস্ক
ঘরের মাঠে আমরাই ফেভারিট ম্যাচের আগের দিনই এই কথা বলেছিলেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। আর অধিনায়কের সেই কথাটাকেই বাস্তবে রূপ দিয়েছে তার সতীর্থরা। প্রথম ম্যাচে মিরপুরে আয়ারল্যান্ডকে নিয়ে রীতিমতো ছেলে খেলা করেছে স্বাগতিকরা। এই ম্যাচে ১৫৪ রানের বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশ নারী দলের সর্বোচ্চ বড় জয়।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) আগে ব্যাট করতে নেমে আইরিশদের ২৫৩ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাব দিতে মাত্র ৯৮ রানেই গুঁটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। এতে ১৫৪ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৯ রানের ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস তৈরি করল জ্যোতি-নাহিদারা।
এদিন বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আয়ারল্যান্ড মেয়েদের। ৪ বলে ৫ রান করে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক গ্যাবি লুইস। পরের বলে অ্যাসিম হান্টারকে আউট করে জোড়া উইকেট তুলে নেন মারুফা খাতুন।
চতুর্থ উইকেটে ওরলা প্রেন্ডারগাস্টকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ওপেনার সারাহ ফোরবেস। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি ওরলা। ১৯ রান করে এই ব্যাটার আউট হলে ৪৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে আইরিশরা। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করেনে ফোরবেস।
২৫ রান করে রান আউট হন এই আইরিশ ওপেনার। এরপর লেয়াওহ পল (০), লরা ডিলানি (২২), উনা রেমন্ড-হোয় (৭) এবং আভা ক্যানিং শূন্য রানে বোল্ড আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আয়ারল্যান্ড।
শেষ দিকে অ্যাইমি ম্যাগুইরে (০) এবং ফ্রেয়া সারজেন্ট ৯ রানের আউট হলে মাত্র ৯৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে সুলতানা খাতুন এবং নাহিদা আক্তার তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও দুই উইকেট মারুফা আক্তার।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছিল দুই টাইগ্রেস ওপেনার ফারজানা হক এবং মুর্শিদা খাতুন। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৫৯ রান।
তবে ফিফটি তুলতে পারেনি মুর্শিদা খাতুন। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। ৬১ বলে ৩৮ রান করেন মুর্শিদা। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলছেন ফারজানা। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন শারমিন আক্তার।
নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে ৯৮ বলে ফিফটি তুলে নেন ফারজানা। অপর প্রান্ত থেকে ব্যাট চালিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন শারমিনও। তবে ফিফটির পর পিচে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি ফারজানা। ১১০ বলে ৬১ রান করে লেগ বিফোরে কাটা পড়েন তিনি।
চতুর্থ উইকেটে শারমিনকে সঙ্গে দেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। কিন্তু জ্যোতি রানে আউট হলেও সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান শামীমা। কিন্তু ৯৬ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি।
শেষ পর্যন্ত শোবহানা মোস্তারির ৫ রান এবং স্বর্ণা আক্তারের অপরাজিত ১৩ রানে ভর করে ২৫২ রানের বড় পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
Discussion about this post