নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁদার টাকা না দেওয়ায় পুরান ঢাকায় এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা নিয়ে পুরো দেশে যখন চাঞ্চল্য, ঠিক তখনই এই চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর পল্লবীতে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে পল্লবীর আলব্দিরটেক এলাকায় এ কে বিল্ডার্স নামের আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে এ হামলা হয়।
৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করার পর না পেয়েই একদল লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। হামলাকারীরা এ সময় চারটি গুলি করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুর্বৃত্তদের গুলিতে শরিফুল ইসলাম নামে প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। যারা হামলা ও গুলি করেছে তাদের কাউকে এখনো পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। শনাক্তে কাজ চলছে।
এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান মো. কাইউম আলী খানের ছেলে আমিমুল এহসান জানান, তিন সপ্তাহ আগে জামিল নামের এক ব্যক্তি তার বাবার কাছে ৫ কোটি টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় দুই দফায় তাদের প্রতিষ্ঠানে হামলা করে সিসি ক্যামেরাসহ অনেক কিছু নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। গতকাল ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী এসে তাদের প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। এ সময় তারা গুলিবর্ষণও করে। গুলিতে একজন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) সালেহ মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। গুলিতে আহত শরিফুল ইসলাম হাসপাতালে আছেন। তিনি থানায় এসে মামলা করবেন। জড়িতদের শনাক্ত করতে সময় লাগছে। আশা করছি দ্রুতই শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান কাইউম আলী খান।
জিডিতে তিনি অভিযোগ করেন, গত ২৭ জুন তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রথমবার হামলা করা হয়। এরপর ৪ জুলাই আবার হামলা করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। তারা ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এসব ঘটনার পর গতকাল প্রতিষ্ঠানটিতে আবারও হামলা হলো।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) হত্যা করে একদল ব্যক্তি। পরিবার বলছে, মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এভাবে হত্যা করা হয় সোহাগকে।
Discussion about this post