স্পোর্টস ডেস্ক
প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় ম্যাচে অবশ্য তাদের হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে ইংল্যান্ড। তবে সান্ত্বনার ম্যাচ জিততে ওয়ানডে ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়েছে ইংলিশরা। প্রোটিয়াদের হারিয়েছে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩৪২ রানের ব্যবধানে।
ওয়ানডেতে আগের সর্বোচ্চ রানে জয়ের রেকর্ডটি ছিল ভারতের। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কাকে তারা ৩১৭ রানে হারিয়েছিল। ইংল্যান্ড তাদেরকেও ছাড়িয়ে গেছে।
সিরিজ ইতোমধ্যে হাতছাড়া হলেও শেষ ম্যাচে ২১ বছর বয়সী জ্যাকব বেথেল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে তার প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। ৮২ বলে ১১০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। যা ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে ৪১৪ রানের বিশাল স্কোরে পৌঁছে দেয়।
বামহাতি বেথেল জো রুটের সঙ্গে ১৮২ রানের জুটি গড়েন। রুট নিজেও ৯৬ বলে ১০০ রান করেন। এরপর জস বাটলার মাত্র ৩২ বলে বিধ্বংসী ৬২* রান করে স্কোরবোর্ডকে আরও বড় করেছেন।
এটি গত তিন বছরে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ওয়ানডে স্কোর। সেঞ্চুরিতে বেথেল আবার ডেভিড গাওয়ারের পর ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় কনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানের কীর্তি গড়েছেন।
রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকা হেডিংলি ও লর্ডসে তাদের অসাধারণ দুই জয়ের মানদণ্ডের ধারেকাছেও ছিল না। তারা বেথেলের ক্যাচ ফেলে দেয় ৪৪ রানে, ওয়াইড দেয় ১৯টি। ব্যাটিং ব্যর্থতায় তারা ২০.৫ ওভারে ৯ উইকেটে থামে ৭২ রানে! প্রোটিয়া অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা ব্যাট করতে না পারায় দুই দলের খেলোয়াড়রা হাত মিলিয়ে মাঠ ছাড়েন তারপর। সর্বোচ্চ ইনিংস দুটি ছিল লোয়ার অর্ডারে করবিন বশের ২০ ও কেশব মহারাজের ১৭।
বল হাতে বিধ্বংসী ভূমিকা রাখেন ইংল্যান্ডের জোফরা আর্চার। নতুন বলে চারটি উইকেট নেন তিনি। তাতে প্রোটিয়াদের স্কোর ৭ রানে ৪ উইকেট থেকে ২৪ রানে হয়ে যায় ৬ উইকেট। সেখান থেকে আর তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। আর্চার ১৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ম্যাচসেরাও তিনি। আদিল রশিদ নেন ১৩ রানে ৩ উইকেট।
Discussion about this post