নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢামেক হাসপাতালে সরকারি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মেডিকেল ইউনিটের বিএনপি নেতা মোহাম্মদ শিপন আওয়ামী লীগ নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করছে।
এবং মেডিকেলে ইউনিটের আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ রমিজের সঙ্গে সমিতির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার না থাকায় শিপন এখন বিএনপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে তাল মিলাচ্ছেন। আসলেই তিনি যে কোন দলের লোক জনগণ ও মেডিকেলের নেতাকর্মীদের মনে প্রশ্ন উঠেছে ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বাবা- মার চাকরি সূত্রে মোহাম্মদ শিপন অষ্টম শ্রেণী পাশ দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় ( এম এল এস এস) চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী হিসেবে মোহাম্মদ শিপন চাকরি নেয়। তার এই চাকরির শুরু থেকেই পুরো হাসপাতালটি জিম্মি বানিয়ে রেখেছেন। এককালে হাসপাতালের ভিতরে জমজমাটভাবে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা চালিয়ে গেছেন। গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও চাকরি চালিয়ে গেছেন।বর্তমানে নিজেকে বিএনপি’র সক্রিয় নেতা হিসেবে আবারো হাসপাতালে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
হাসপাতালে ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। হঠাৎ করে পদোন্নতি নিয়ে ওয়ার্ড মাস্টার হয়েছেন। ওয়ার্ড মাস্টার হওয়ার পর দায়িত্ব পালনে জরুরি বিভাগ এলাকায়। এরপর সাধারণ কর্মচারীদের উপর শিপনের চলে অত্যাচার । কর্মচারীদের ওয়ার্ড বদলি বাণিজ্য শুরু করে তিনি। এছাড়াও হাসপাতালের আশপাশে ফুটপাতের দোকানগুলো থেকেও চাঁদাবাজি শুরু করেছে শিপন সিন্ডিকেটের সদস্যরা। হাসপাতালের ভিতরে যত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে নিয়ন্ত্রণ করছে শিপন সিন্ডিকেটের সদস্যরা ।
ঢামেক হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির বিতাড়িত সভাপতি ও মেডিকেলের ইউনিটির আ’লীগের সভাপতির অভিযোগের মাধ্যমে জানা যায়, আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন সাধারণ কর্মচারীদের উপর এত অত্যাচার হয়নি। বর্তমানে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিলে ব্যাপক হারে সাধারণ কর্মচারীদের উপর অত্যাচার এবং অর্থের বিনিময় ওয়ার্ড বদলির বাণিজ্য চালাচ্ছে। যে শিপনের এককালে তেমন কিছু ছিল না এখন সে প্রায় কয়েক কোটি টাকার মালিক। তাদের সিন্ডিকেট এর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে হাসপাতালে পরিচালক ও উপ-পরিচালক সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এইসব সিন্ডিকেটের হাত থেকে হাসপাতালকে রক্ষা করতে হলে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি থাকতে হবে । ৫ আগস্টের পর থেকে ঢামেক হাসপাতালে ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরা অনেক সাংবাদিকদের উপর হামলা ও নির্যাতন করেছেন। এখন পুরো হাসপাতালটাই তাদের নিয়ন্ত্রণে চলছে।
Discussion about this post