নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার টঙ্গী ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দিনব্যাপী আন্দোলন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং অভিযোগপ্রাপ্ত তিন শিক্ষকের বহিষ্কার—এসব ঘটনার জের ধরেই মাদরাসাটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) টঙ্গী ক্যাম্পাসের অধ্যক্ষ ডা. মো. হেফজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিশু বিভাগ থেকে কামিল পর্ব পর্যন্ত সব ক্লাস এবং আলিম ২য় বর্ষের পরীক্ষা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ অন্যান্য নির্ধারিত কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
কী কারণে মাদরাসা বন্ধ?
মঙ্গলবার সকাল থেকেই চার দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের দাবিগুলো ছিল— ১) বেতন বৃদ্ধি প্রত্যাহার, ২) অতিরিক্ত পরীক্ষার ফি বাতিল, ৩) গরিব শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা, ৪) স্কলারশিপ চালুর দাবি।
দিনের এক পর্যায়ে আন্দোলন থামাতে গেলে কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয় এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বহিষ্কারের দাবি জানায়। এমনকি তারা কয়েকজন শিক্ষককে অবরুদ্ধও করে রাখে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গভার্নিং বডির প্রধান ড. কোরবানি আলী সন্ধ্যায় মাদরাসায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগপ্রাপ্ত তিন শিক্ষক—আতিকুর রহমান, সিবগাতুল্লাহ এবং কামরুল ইসলাম—কে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও উত্তেজনা পুরোপুরি না কাটায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ পরদিনই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
অধ্যক্ষ ডা. হিফজুর রহমান জানান, আলোচনার মাধ্যমে বিষয়গুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে। সমাধানে পৌঁছালে আনুষ্ঠানিকভাবে সবাইকে জানানো হবে।










Discussion about this post