নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সীজ (বায়রা) এর দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন আগামি বছরের ১৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বায়রা নির্বাচন বোর্ড গঠিত তফসিল অনুযায়ী নির্ধারিত সময়কে সামনে রেখেই প্যানেল মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থনে নেতা-কর্মীদের প্রচারনায় জমজমাট হয়ে উঠেছে।
নির্বাচনে জয়ী হতে ইতিমধ্যে বায়রা সদস্যদের নিয়ে গঠিত দুটি প্যানেল প্রতিনিয়ত ঢাকার বাইরের বিভিন্ন স্থানে সভায় মিলিত হচ্ছে।
এদিকে গত ২৯ অক্টোবর বায়রা দ্বি-বার্ষিক (২০২৫-২০২৭) নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৭ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা পর্ষদ গঠনের উদ্দেশ্য ২০২৬ সালের ১৭ জানুয়ারী শনিবার (সম্ভাব্য স্থান) বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য তফসিল ঘোষনা করা হয়।
বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সীজ এর নির্বাচন বোর্ড চেয়ারম্যান ফিরোজ আল মামুন স্বাক্ষরিত তফসিল অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচনের জন্য প্রার্থী কর্তৃক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের শেষ দিন ছিলো। এদিন প্রার্থীরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
আগামা ১৬ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র পরীক্ষা ও প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে।
১৮ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র বাতিল বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক নির্বাচন আপীল বোর্ডের কাছে আপীল দাখিলের সুযোগ পাবেন। ২১ ডিসেম্বর বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের উপর দাখিলকৃত আপত্তির উপর শুনানী গ্রহণ ও নিস্পত্তি করা হবে।
২২ ডিসেম্বর বৈধ প্রার্থীদের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে তফসিলে উল্লেখ রয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সুযোগ থাকছে। প্রার্থীতা প্রত্যাহার শেষে নির্বাচন বোর্ড কর্তৃক চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
২৮ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের পর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা নির্বাচনযোগ্য পদের সমান বা তদপেক্ষা কম হলে ভোট গ্রহণের প্রয়োজন হবে না এবং এরুপ প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষনা করা হবে।
শিডিউল অনুযায়ী ২০২৬ সালের ১৭ জানুয়ারী বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষনা করা হবে।
উল্লেখ্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বায়রার চিহ্নিত সদস্যদের নিয়ে গঠিত সিন্ডিকটের নিয়ন্ত্রণে রাখা না রাখা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বায়রা নির্বাচন হচ্ছিলো না বলে অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে মামলা পাল্টা মামলাও হয়েছে। যদিও বানিজ্য মন্ত্রনালয় সব সময় চেয়েছে বায়রা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হউক। অবশেষে চিঠি চালাচালির পর জনশক্তি কর্মসংস্থাণ ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো: আশরাফ হোসেনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে প্রশাসক পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর শুরু হয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।
অবশ্য এরআগে থেকেই বায়রার প্রবীন ও নবীন সদস্যদের সম্বন্বয়ে দুটি প্যানেলের সদস্যরা ঢাকার বিভিন্ন নামকরা হোটেল, রিক্রুটিং এজেন্সীর অফিসে বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আসন্ন নির্বাচনে কে প্যানেল প্রধান হবেন তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা কল্পনা। অবশেষে দুটি প্যানেল থেকে দুজন প্যানেল প্রধানের নাম জানাজানি হয়।
বিগত সময়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে যারা ১০, ২৫, ১০১ জনের সম্বন্বয় করে সিন্ডিকেট করে একচেটিয়া ব্যবসা করেছিলেন তাদের মনোনীত থাকছে একটি শক্তিশালী প্যানেল। তাদের বিপরীতে থাকছে সিন্ডিকেট বিরোধী স্লোগান দেয়া অপর একটি প্যানেল।
দুটি প্যানেলের পক্ষ থেকেই নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা জোরেশোরে শুরু হয়েছে। দুটি প্যানেলই এবার নির্বাচনে জয়ী হতে দৌড়ঝাপ করছেন।










Discussion about this post