নিজস্ব প্রতিবেদক
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের একটি নির্দেশনা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরীর স্বাক্ষরযুক্ত ওই অফিস আদেশে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন যেন প্রকাশ্যে না থাকতে পারে’।
তবে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সে নির্দেশনার ব্যাপারে পুলিশ কমিশনার বলেছেন, ‘এই নির্দেশনায় শব্দগত ভুল রয়েছে।’
জানা যায়, সম্প্রতি সিলেট মহানগর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কমিশনারের বৈঠকে নগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নানা বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের পর রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) কমিশনারের সাক্ষরিত নির্দেশনা বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
নির্দেশনার এক অংশে উল্লেখ করা হয়— ‘ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে এসএমপির (সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ) আওতাধীন এলাকায় কোন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের লোকজন প্রকাশ্যে যাতে থাকতে না পারে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকল অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এসি, এডিসি ও ডিসিগণ এ বিষয়ে তদারকি করবেন।’
ফেসবুকে নির্দেশনার এই অংশ ছড়িয়ে পড়ার পর কেউ কেউ মানবাধিকার ইস্যুতে প্রশ্ন তুলেছেন।
এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক কমিটি সিলেটের সভাপতি আইনজীবী সৈয়দা শিরিন আক্তার বলেন, ‘নিজের বাসা বাড়িতে থাকার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। কেউ যদি মামলার আসামি হয়, যদি তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকে; তাহলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে। অন্যথায় কাউকে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরায় বাধা দেওয়া আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।’
বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সংগঠন। তাদের বিরুদ্ধে এটি তো রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত। এই নির্দেশনায় কিছু শব্দগত ভুল থাকতে পারে। এটি সংশোধন করে আবার আমরা প্রেরণ করবো।’
Discussion about this post