আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি নতুন সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাণহানির ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।
তিনি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও আগেই স্পষ্ট করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে আছে এবং সন্ত্রাসবাদের সব ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায়। আমরা নিহতদের জন্য প্রার্থনা করি এবং হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত এ আদেশ দেয়।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মাইন উদ্দিন। অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আসামির জামিন নামঞ্জুর করে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৩ এপ্রিল দুপুরে গাইবান্ধা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে আলোচিত এই হত্যা মামলায় চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে ও দুইজন দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন।
জানা যায়, জাহিদুল ইসলাম পারভেজ প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ১৯ এপ্রিল বিকাল ৪টার পর বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ওই ঘটনার একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে জাহিদুল ইসলাম পারভেজ নিহত হন।
এ ঘটনার পরের দিন ২০ এপ্রিল পারভেজের ফুফাতো ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলা করেন। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ও ইংরেজি বিভাগের তিন ছাত্র মেহেরাজ, মাহাথির, আবুজর গিফারীসহ আটজনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়।
এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
Discussion about this post