তানজিনুল ইসলাম তামিম:
বাংলাদেশের গুণী অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ বর্তমানে মানসম্মত গল্পের জন্য ‘চাতক পাখির মতো’ অপেক্ষা করছেন। তার এই প্রতীক্ষা কেবল একটি শিল্পীর ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা নয়, বরং এটি দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সামগ্রিক চিত্র এবং মানসম্মত কাজের প্রতি তার অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন।
সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে, নওশাবা আহমেদ এমন একটি চিত্রনাট্যের জন্য অপেক্ষা করছেন যা তাকে চ্যালেঞ্জ করবে এবং তার অভিনয় প্রতিভাকে নতুন মাত্রায় তুলে ধরবে। বর্তমান সময়ে যখন চলচ্চিত্রের সংখ্যা বাড়ছে, তখন মানসম্মত গল্প এবং চরিত্র খুঁজে পাওয়া অনেক শিল্পীর জন্যই একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজী নওশাবা আহমেদের মতো একজন অভিজ্ঞ শিল্পী, যিনি দীর্ঘকাল ধরে থিয়েটার, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন, তার এই আকাঙ্ক্ষা তাই আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।
শিল্প সমালোচকদের মতে, একজন অভিনেতার সেরা কাজ তখনই বেরিয়ে আসে যখন তিনি একটি শক্তিশালী গল্পের অংশ হন। একটি দুর্বল চিত্রনাট্য অনেক সময় একজন শক্তিশালী অভিনেতার পারফরম্যান্সকেও নিষ্প্রভ করে তোলে। নওশাবা আহমেদের এই ‘অপেক্ষা’ তাই নিছক কাজ করার জন্য নয়, বরং এমন একটি কাজের জন্য যেখানে তিনি তার সৃজনশীলতার সম্পূর্ণ প্রকাশ ঘটাতে পারবেন।
নওশাবা আহমেদের এই মনোভাব অন্যান্য শিল্পী এবং নির্মাতাদের জন্যও একটি বার্তা বহন করে। এটি প্রমাণ করে যে, শিল্পের মূল ভিত্তি হলো গল্প এবং মানসম্মত উপস্থাপনা। তার মতো শিল্পীরা যদি ভালো কাজের জন্য অপেক্ষা করেন, তাহলে নির্মাতাদেরও উচিত সেদিকে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া।
আশা করা যায়, কাজী নওশাবা আহমেদের এই প্রতীক্ষার অবসান হবে এবং তিনি খুব শীঘ্রই এমন একটি প্রজেক্টে কাজ করবেন যা দর্শক এবং সমালোচক উভয়ের কাছেই প্রশংসিত হবে। তার এই নিবেদন দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে নতুন গল্প এবং আরও উন্নত মানের কাজের ধারা তৈরি করতে সাহায্য করবে।
Discussion about this post