ক্রীড়া প্রতিবেদক :
তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে ময়মনসিংহ বিভাগীয় পর্যায়ে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। রবিবার ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়াম মাঠে বেলুন উড়িয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জন কেনেডি জাম্বিল।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। এই তরুণদের মধ্যেই আগামী দিনের অসীম সম্ভাবনা নিহিত রয়েছে। আগামীর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তরুণরা কাজ করে যাচ্ছে। উদ্বোধনী দিনের প্রথম খেলায় বালক শেরপুর জেলার ডা. সেকান্দর আলী কলেজ ও জামালপুরের শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র করে।
পরে টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে জয়লাভ করে শেরপুরের ডা. সেকান্দর আলী কলেজ। অপর খেলায় ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয় ৭-০ গোলে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা সরকারি কলেজকে পরাজিত করে।
বিকেলে অনুষ্ঠিত দুটি খেলায় আনন্দ মোহন কলেজ ২-০ গোলে নেত্রকোনা সরকারি কলেজকে হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে এবং জামালপুরের বকশিগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ ও শেরপুর জেলার নিজাম উদ্দিন আহম্মদ মডেল কলেজ নির্ধারিত সময়ে খেলায় গোলশূন্য ড্র হয়।
পরে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে জয়লাভ করে জামালপুরের বকশিগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ। নির্ধারিত ৬০ মিনিটের খেলাগুলো উপভোগ করতে জেলা স্টেডিয়াম মাঠে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ক্রীড়া পরিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত এ টুর্নামেন্টে বিভাগের চারটি জেলার চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপসহ মোট আটটি দল অংশগ্রহণ করেছে। সোমবার শেরপুরের ডা. সেকান্দর আলী কলেজ, ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয়, আনন্দ মোহন কলেজ ও জামালপুরের বকশিগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজের অংশগ্রহণে সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
সেমিফাইনালে জয়ী দুটি দল আগামী ২৩ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় জেলা স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হবে। ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল পরবর্তীতে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ক্রীড়া অফিসার ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব আল আমিন, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সদস্য আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য এবং ক্রীড়া সংগঠক মাহাবুবুল আলম, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব হারুন অর রশিদ, ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ প্রফেসর এস. এম সফিকুল হায়দার, ক্রীড়া শিক্ষক শাহ মোঃ আব্দুল হান্নান, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মোঃ নাসির উদ্দীন, অন্যান্য কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ, ছাত্র সমন্বয়কসহ খেলোয়াড়, কোচ, ম্যানেজার, ক্রীড়ামোদী দর্শক ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
খেলার ধারাবর্ণনা করেন বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সদস্য এম. এ. মোরাদ।










Discussion about this post