নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে আনোয়ার হোসেন বাবু (৪৩) নামে এক ব্যক্তির হাত–পা বাঁধা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে উত্তর শরীফপাড়া এলাকার ফারুক মিয়ার গ্যারেজে মরদেহটি পাওয়া যায়।
হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন ‘পানি জাহাঙ্গীর’র বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থপাচার মামলা
পুলিশের ধারণা, চোর সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত বাবু বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ–পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সদরঘাট কার্যালয়ে ইলেকট্রিশিয়ান পদে চাকরি করতেন।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে তাকে পিটিয়ে হত্যার কথা জানা গেছে। নিহত ব্যক্তি মাদকাসক্ত ছিলেন এবং তাকে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল বলেও একটি সূত্রে তথ্য পাওয়া গেছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখনও পরিবারের সদস্যরা কোনো মামলা করেননি। মামলা হলে তাদের অভিযোগ অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, পরিবারের সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ী এলাকায় থাকতেন আনোয়ার। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। শুক্রবার ভোরে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান। পরে ওই গ্যারেজে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
মৃতের ভাই দেলোয়ার হোসেন জানান, তারা স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন, আনোয়ারকে পিটিয়ে ফারুকের গ্যারেজে হাত–পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছে। পরে তাদের মা দিলরুবা আক্তার ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তখন তিনি ছেলেকে মুমূর্ষু অবস্থায় পান। আনোয়ার মাকে জানান, তাকে রড ও লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে পেটানো হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তার। চোর সন্দেহে স্থানীয় নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে পেটান বলে জানতে পেরেছেন স্বজনরা।
আনোয়ার মাদকাসক্ত ছিলেন কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের কিছুটা মানসিক সমস্যা ছিল। তবে সে মাদকাসক্ত ছিল না।
যাত্রাবাড়ী থানার এসআই আমির হোসেন জানান, খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে গ্যারেজ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহ পাঠানো হয়। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল ও আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।
 
			 
                                









Discussion about this post