নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর মুগদা এলাকায় গ্রীন মডেল টাউনের একটি আবাসিক ভবনের ৪ ফ্ল্যাটে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভবনটির দুই ফ্ল্যাট মালিকসহ চারজন আহত হয়েছেন। একজনের জখমের অবস্থা গুরুতর। পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতরা ওই ফ্ল্যাটগুলো থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।
গ্রিন মডেল টাউন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এজাজ খান জানিয়েছেন, রোববার (৬ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে ডাকাত দল ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওই ভবনের মালিকসহ ৪জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহতরা হলেন-ভবন মালিক হুমায়ূন ও তার স্ত্রী শাহীনূর আক্তার এবং আরেক ফ্লাটের আব্দুল মান্নান ও তার ছেলে হাসান।মুগদা থানার ওসি সাজেদুর রহমান জানিয়েছিলেন, সোসাইটির ডি ব্লকের ৩ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর বাড়িতে রোববার রাত ৩টার দিকে ডাকাতির এই ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা চারটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।
ওসি সাজেদুর বলেন, রাত ৩টার পর ডাকাতরা সেখানে গিয়ে ভবনের নিরাপত্তা কর্মীকে অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে। এরপর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটগুলোর চারটির দরজা ভেঙে ডাকাতি করে।
তিনি বলেন, ওই ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা একেবারেই নগণ্য। সেখানে কোনো ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা নাই। অন্ধকার, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। ডাকাতরা দেয়াল টপকে ভবনের ভেতরে ঢুকেছিল। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ, ডিবি, র্যাব, পিবিআই, সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে।
গ্রিন মডেল টাউন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এজাজ খান বলেন, আমাদের সোসাইটিতে অস্ত্রসহ ২০ থেকে ২৫ জন ডাকাত সদস্য ঢুকে পড়ে। তাদের মধ্য থেকে ৭ থেকে ৮ জন ডাকাত ভবনের ভেতরে ঢুকে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে তাণ্ডব চালায়, বাকিরা ভবনের বাইরে ছিল। সবার হাতে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ডাকাতদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ভবন মালিক হুমায়ূনসহ ৪ জন গুরতর জখম হয়েছেন।
এজাজ খান বলেন, এ ঘটনা এখন পর্যন্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তবে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আমরা পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছি। এ ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ, ডিবি, সিআইডি ও পিবিআই এর টিম এসেছিল। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছে।
Discussion about this post