নিজস্ব প্রতিবেদক
মক্কায় ১ হাজার ২৬৫ ও মদিনায় ৯৩ জন হজযাত্রীর বাড়িভাড়া করেনি ২০টি এজেন্সি। এসব হজযাত্রীর বাড়িভাড়া আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত ৮টার মধ্যে সম্পন্নকরার আলটিমেটাম দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। রোববার (১৩ মার্চ) রাতে ধর্ম মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২৫ সনের হজে ৭০টি লিড এজেন্সির অধীনে আরও ৬৮৩টি এজেন্সি হজ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের রোডম্যাপ অনুসারে প্রথমে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব সেবা চুক্তি সম্পন্ন করার সময় নির্ধারিত ছিল। সৌদি সরকার পরে পরিবহন চুক্তি এবং হজযাত্রীদের জন্য পবিত্র মক্কা ও মদিনায় বাড়ি/হোটেল ভাড়া করার জন্য ২৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ায়।
ওই সময়ের মধ্যে যেসব এজেন্সি পরিবহন চুক্তি এবং হজযাত্রীদের জন্য মক্কা ও মদিনায় বাড়ি/হোটেল ভাড়া সম্পন্ন করতে পারেনি, তাদের জন্য আরও ১০ দিন অর্থাৎ ৩ এপ্রিলের মধ্যে চুক্তি করার জন্য সময় বাড়ানো হয়।
তবে সৌদি সরকার রোববার (১৩ এপ্রিল) তাসরিয়া প্রাপ্ত বাড়ি ভাড়ার অপশন বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে এখন সর্বশেষ সুযোগ হিসেবে মক্কা ও মদিনায় তানসিয়া প্রাপ্ত অর্থাৎ শুধু হোটেল ভাড়া নেয়ার সুযোগ রয়েছে। এটিও যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এমন অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় সব এজেন্সি/লিড এজেন্সিকে নিয়ে বার বার সভা করে, চিঠি দিয়ে এবং মোবাইল ফোনে মেসেজ দিয়ে এজেন্সিগুলোকে অনুরোধ করার পরও ২০টি লিড এজেন্সি মক্কায় এক হাজার ২৬৫ জনের ও মদিনায় ৯৩ জনের বাড়ি ভাড়ার চুক্তি সম্পন্ন করেনি।
এর ফলে এসব এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধিত উল্লেখিত হজযাত্রীদের হজে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এজেন্সির অবহেলার কারণে কেউ হজে যেতে না পারলে তাতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।
এদিকে আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করার সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে।
এ অবস্থায় ২০টি লিড এজেন্সিকে মক্কায় অবশিষ্ট এক হাজার ২৬৫ জনের ও মদিনায় ৯৩ জনের বাড়ি ভাড়ার প্রক্রিয়া ১৪ এপ্রিল রাত ৮টার মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। অন্যথায় ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন-২০২১’ এবং ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২২’ অনুসারে লাইসেন্স বাতিলসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post