স্বাস্থ্য ডেস্ক
করোনা, এমপক্স ও এইচএমপি ভাইরাসের পর এবার নতুন রিওভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এরই মধ্যে দেশে পাঁচজনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
রিওভাইরাসের লক্ষণ
হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। এতে আক্রান্ত হলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, জ্বর, মাথাব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে। আর মারাত্মক হলে নিউমোনিয়া, এমনিক এনকেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহও দেখা দিতে পারে। এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয় শিশু ও বয়স্করা।
কতটা মারাত্মক এই ভাইরাস?
রিওভাইরাস নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু দেখছেন না চিকিৎসকরা। কারণ, আক্রান্তদের শরীরে তেমন কোনো জটিলতা ধরা পড়েনি।
এ বিষয়ে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, ‘খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে প্রতিবছর নিপাহ ভাইরাসে অনেকে আক্রান্ত হন। তেমনই লক্ষণ দেখে সম্প্রতি ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে নিপাহ ভাইরাস না মিললেও পাঁচ জনের শরীরে পাওয়া গেছে ব্যাট রিওভাইরাস। দেশে অনেক এনকেফালাইটিস রোগী পাওয়া গেছে। কিন্তু কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই গবেষণা এসব রোগীর চিকিৎসায় কাজে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘এই ভাইরাস সংক্রমণ কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিউমোনিয়া, এমনিক এনকেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহও দেখা দিতে পারে। বেশি আক্রান্ত হয় শিশু ও বয়স্করা। রিওভাইরাস সাধারণত মারাত্মক নয়। তবে শিশু ও বয়স্করা সঠিক চিকিৎসা না পেলে এটি তাদের জন্য জীবনহানির পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।’
প্রতিরোধের উপায় কী?
রিওভাইরাসের প্রতিরোধের জন্য টিকা (রিওভাইরাস ভ্যাকসিন) আছে যা শিশুদের জন্য দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া হাত ধোয়া, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহার ও খাবারের সুরক্ষা এই ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সহায়ক।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এই প্রথম এর দেখা মিললেও রিওভাইরাস মোটেও নতুন কোনো রোগ নয়। ১৯৫০ সালে বিশ্বে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় এই ভাইরাস। শীতকালে এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।
Discussion about this post