অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করেনি বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস উইং। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
প্রেস উইং আরও জানায়, সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। বর্তমান সরকার শপথ নেয়ার পর থেকেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার এবং তা অক্ষুণ্ন রাখার দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা বলে আসছে।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের আদেশে সময় টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। গতকাল সোমবার (১৯ আগস্ট) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সময় মিডিয়া লিমিটেডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন আইনজীবী আহসানুল করিম। এর আগে, সময় টিভির এমডি ও সিইও পদ থেকে আহমেদ জোবায়েরকে অপসারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৪ আগস্ট আদালতে আবেদন করা হয়।
গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, গত শনিবার (১০ আগস্ট) গুলশানের সিটি হাউসে সময় মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভায় নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্ধারণ করা হয়। এতে বলা হয়, সভায় পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে আহমেদ জোবায়েরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একই সভায় পরিচালক শম্পা রহমানকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সময় মিডিয়া লিমিটেডের সব কার্যক্রম এখন থেকে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশনায় পরিচালিত হবে। পরে এ অব্যাহতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে আবেদন করেন আহমেদ জোবায়ের।
অপরদিকে, সরকার পতনের পর কয়েকটি গণমাধ্যমে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সবশেষ গতকাল সোমবার (১৯ আগস্ট) বসুন্ধরা গ্রুপের ইস্টও-য়েস্ট মিডিয়া লিমিটেড কমপ্লেক্সে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গ্রুপটির মালিকানাধীন ‘দৈনিক কালের কণ্ঠ’ ও ‘রেডিও ক্যাপিটাল’ কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।
Discussion about this post