স্পোর্টস ডেস্ক
চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম লেগে পিএসজির কাছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল অ্যাস্টন ভিলা। আর সেই হারই কাল হরে দাঁড়ালো ইংলিশ ক্লাবটির জন্য। দ্বিতীয় লেগে পিএসজিকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারালো সেমিফাইনালে টিকিট পায়নি ভিলা। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলের ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ফরাসি জায়ান্টরা।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ভিলা পার্কে শুরুতে আশরাফ হাকিমি ও নুনো মেন্দেসের গোলে লড়াইয়ের লাগাম হাতে নেয় পিএসজি। এরপর একটু একটু লড়াইয়ে ফিরতে থাকে ভিলা।
ইউরি টিয়েলেমান্স ব্যবধান কমানোর পর, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জন ম্যাকগিন ও কন্সার গোলে ফিকে হয়ে যাওয়া আশা জাগায় তারা। অনেকগুলো পরিষ্কার সুযোগ নষ্ট করে স্বপ্নটাকে যদিও সত্যি করতে পারেনি ভিলা।
প্রথম দুই মিনিটেই দুটি কর্নার আদায় করে নেয় তারা। তবে, একাদশ মিনিটে তাদের একটি আক্রমণ রুখে, গতিময় পাল্টা-আক্রমণে এগিয়ে যায় পিএসজি।
গোলটির পেছনে যথেষ্ট দায় আছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেসের। এগিয়ে যাবেন কি না এই ভাবনায় একটু যেন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন তিনি, ফলে স্লাইড করে বল ধরতে না পেরে উল্টো তুলে দেন প্রতিপক্ষের পায়ে।
আর ছুটে এসে জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন হাকিমি। বল মার্তিনেসের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। ১৯তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নিতে পারে ভিলা। দুরূহ কোণ থেকে পাউ তরেসের সোজাসুজি শটটি ঠেকাতে অবশ্য বেগ পেতে হয়নি জানলুইজি দোন্নারুম্মার।
২৭তম মিনিটে উসমান দেম্বেলের পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে নিচু শটে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ৫-১ করেন মেন্দেস। পিএসজির দুর্ভাগ্যে ম্যাচের ঝিমিয়ে পড়া উত্তেজনা কিছুটা ফেরে ৩৪তম মিনিটে। বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে জোরাল শট নেন ইউরি টিয়েলেমান্স, বল উইলিয়ান পাচোর গায়ে লেগে পুরোপুরি দিক পাল্টে জালে জড়ায়, কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষক দোন্নারুম্মার।
৫৫তম মিনিটে অসাধারণ নৈপুণ্যে ম্যাচের স্কোরলাইন ২-২ করেন ম্যাকগিন। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে গোলটি করেন স্কটিশ মিডফিল্ডার। এরপরই র্যাশফোর্ডের কাটব্যাক পেয়ে ইংলিশ ডিফেন্ডার কন্সা নিচু শটে পোস্ট ঘেঁষে দলকে ম্যাচে এগিয়ে নেন।
দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-৫। অবশ্য কন্সার গোলের আগে-পরে র্যাশফোর্ড ও টিয়েলেমান্সের দুটি প্রচেষ্টা দুর্দান্ত সেভ করে দলকে সেমিফাইনালের পথে রাখেন দোন্নারুম্মা।
৭০তম মিনিটে আবারও দোন্নারুম্মার নৈপুণ্যে রক্ষা পায় পিএসজি। চার মিনিট আগে বদলি নামা মার্কো আসেন্সিওর শট এগিয়ে গিয়ে পা দিয়ে কোনোমতে আটকান ইতালিয়ান গোলরক্ষক।
শেষ পর্যন্ত যদিও বাকি এক গোলের ব্যবধান আর ঘোচাতে পারেনি ভিলা। যোগ করা তিন মিনিট সময়েও নিশ্চিত দুটি সুযোগ হারায় তারা, একেবারে শেষ মুহূর্তে ইয়ান মাটসেনের শট গোলমুখে প্রতিহত হলে হাফ ছাড়ে পিএসজি, আর হতাশায় ডাগআউটে শুয়ে পড়েন কোচ এমেরি।
Discussion about this post