নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এই সরকারের কাজ-কামে দেশবাসী খুবই উদ্বিগ্ন। তারা কী চায়, সেটাও আমরা বুঝি না।
জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণা না করায় অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপিকে পাশ কাটাতেই সরকার নির্বাচনে বিলম্ব করছে।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পরিষদের উদ্যোগে এক যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশ্যে দুদু বলেন, “বাংলাদেশে কী করবেন, কী করবেন না, এটা বড় কথা না। একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য অনতিবিলম্বে একটা রোড ম্যাপ ঘোষণা করেন। কবে নির্বাচন হবে, কোন মাসে হবে, কোন সালে হবে বলুন।
তিনি বলেন, একবার ডিসেম্বরে, একবার জুন মাসে- এসব ফাইজলামি বাদ দেন। এগুলোর জন্য আমরা তৈরি না।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ গুম হওয়া… কত মর্মান্তিক.. ওদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে পারছি না, যেহেতু আমরা জানি না ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম মারা গেছেন, না এখনো জীবিত আছেন। তাদের পরিবার আল্লাহর কাছে কি প্রার্থনা করবে, তার উত্তরাধিকাররা কী দাবি করবে।
‘সারা বাংলাদেশের মানুষ জানে শেখ হাসিনা তাকে (ইলিয়াস আলীকে) শুধু গুম করে নাই, তাকে অপহরণ করে নাই, তাকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে। আমি এই সভায় দাবি জানাচ্ছি, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ হাজার হাজার যেসব জাতীয় নেতৃবৃন্দ, ছাত্র নেতৃবৃন্দ, যুব নেতৃবৃন্দ, যাদের আমরা এখনো সন্ধান পাই নাই, এই অপরাধের জন্য হাসিনার আমি ফাঁসি দাবি করছি। গুম-খুনের বিচারের উদ্যোগ নিন।
দুদু বলেন, “আমরা মনে করি, বাংলাদেশে এখন যে অবস্থা দাঁড় করানো হয়েছে তাতে ষড়যন্ত্রকারীরা যারা গণতন্ত্র ১৫-১৬ বছর ধরে ধ্বংস করেছে, নিশ্চিহ্ন করেছে, তাদেরকে কোনো না কোনোভাবে রক্ষা করা হচ্ছে, কোনো না কোনোভাবে ষড়যন্ত্র করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
“যারা অর্থ লুটপাট করেছে, তাদেরকে আইনের আশ্রয়ে নিয়ে আসেন। যারা প্রশাসনে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে, রক্ষা করেছে, থাকার ব্যবস্থা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেন।”
সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, এই সরকার রুটিন কাজ ছাড়া তারা কিছুই করতে পারবে না।
“বর্তমান প্রশাসনের ওপর দুইটা জিনিস ভর করেছে খুব বেশি করে। একটা হচ্ছে, ঠিক অফিস টাইমের মধ্যে অফিসটা করে কোনো রকমের বাড়ি চলে যাওয়া। আরেকটা হচ্ছে, কোনো ফাইল যদি সামনে আসে সেই ফাইলটাকে বিলম্ব করে করে কোনো রকম নিজে এখান থেকে সরে গিয়ে আরেকজনের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া, এই কারণে সব কাজ স্থবির হয়ে গেছে।”
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পরিষদের আহ্বায়ক কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন খোকনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আবদুল কালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আসিফা সুলতানা রুমা বক্তব্য রাখেন।
Discussion about this post