নিজস্ব প্রতিবেদক
পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে পশু কোরবানি। রোববার (৮ জুন) সকাল থেকেই কোরবানি শুরু হয়।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের দিন কসাই না পাওয়ায় যারা কোরবানি করতে পারেননি, তারাই আজ পশু কোরবানি দিচ্ছেন। কেউ কেউ পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণেও কোরবানি দিচ্ছেন দ্বিতীয় দিন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ঈদের দিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকায় এক লাখ ৩৩ হাজারের বেশি পশু কোরবানি হয়েছে, যার শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় দিনের বর্জ্য ৬ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে।
এদিকে, ঈদের পরদিনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ। বেশিরভাগ বিভাগীয় শহর, জেলা-উপজেলা ও পৌরসভায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামে গতকাল সন্ধ্যার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এবছর দ্রুত সময়ের মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বাতিল করা হয়েছিল পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ঈদের ছুটি। সেই সঙ্গে সহায়তা করেছেন ছাত্র প্রতিনিধি, দলীয় কর্মী ও বিভিন্ন সংস্থার লোকজন।
প্রসঙ্গত, ধর্মীয় দিক থেকে ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ১১ জিলহজও কোরবানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের বর্ণনায় এ দিনটি মর্যাদাপূর্ণ বলে উল্লেখ রয়েছে। নবী করিম (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হলো কোরবানির দিন, এরপরের দিনটি।
Discussion about this post