নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রহসনের নির্বাচন ছিল বলে দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে তিনি স্বীকারোক্তি দেন। পরে সাবেক সিইসিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
আওয়ামী লীগের সময় অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন সিইসিকে আসামি করে গত ২২ জুন মামলা করে বিএনপি। মামলায় মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।মামলার পর একই দিন সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে শেখ হাসিনাসহ তাঁর সরকার অবৈধভাবে শপথ নেওয়ার পর অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসে। পরে শেখ হাসিনা ও তাঁর মন্ত্রিপরিষদ, সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের ক্যাডাররা বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের অপহরণ, গুম-খুন ও মামলা-হামলা দিয়ে নির্যাতন শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কে এম নূরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এরপর নুরুল হুদার অধীনেই দিনের ভোট রাতে করে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনা হয়েছিল।
এর আগে প্রহসনের নির্বাচন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় সাবেক সিইসি নূরুল হুদা দুই দফায় ৮ দিনের রিমান্ডে ছিলেন।
Discussion about this post