কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লায় আন্তজেলা ডাকাত দলে দলের নেতা দুলালসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও দেবিদ্বার থানার পুলিশের সমন্বয়ে দেবিদ্বার থানার ভিংলাবাড়ি এলাকায় কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে চেকপোস্টের মাধ্যমে একটি হাইচ গাড়ির গতিরোধ করে ডাকাত চক্রটিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজের ব্যবহৃত বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। ডাকাত চক্রের দলনেতা দুলালের তথ্যের ভিত্তিতে নিহার বিশ্বাস নামে আরেক সদস্যের কাছ থেকে চার জোড়া সোনার কানের দুল, একটি সোনার আংটি, একজোড়া রুপার নুপুর, এবং নগদ বিশ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার নাজির নাজির আহমেদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বাশকেক ইউনিয়নের উরিরচর এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (৪০)। কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার নোয়াবাড়িয়া এলাকার মৃত সোনা মিয়ার ছেলে দুলাল (৪৮)। কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের আমানুল্লাহ মিয়ার ছেলে আবদুল কাদির মিয়া (৪৪)। মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার শামসুল হকের ছেলে আবুল হাসেম (৪০)। কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার ভগীরথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে আবদুল হক (৫০)। কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার খিলা ইউনিয়নের মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২)। কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের মৃত আজিজুল হকের ছেলে শামসুল হক (৪৫)। কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল ইউনিয়নের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৫)। কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলার পদুয়ার বাজার ইউনিয়নের মৃত শামসুল হকের ছেলে ইয়াছিন (৫০)। কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলার গাছতলা ইউনিয়নের মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে সুমন (৩২)। কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩০)। কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল ইউনিয়নের মৃত আমির হোসেনের ছেলে লিটন (৩২)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে নুর আলম (৫০)। কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার নোয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মৃত জাহের মিয়ার ছেলে ফরহাদ (২০)।
পুলিশ জানায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা লালমাই থানায় দুটো ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর জেলা পুলিশ ডাকাত চক্রটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে কুমিল্লা বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় ডাকাত চক্রটি ডাকাতের জন্য অবস্থান করছেন। পুলিশ ওই এলাকায় অবস্থান নিলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলটি দেবিদ্বার এলাকার দিকে ডাকাতি করার জন্য রওনা হয়। এ সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও দেবিদ্বার থানা পুলিশের সমন্বয়ে চেকপোস্টের মাধ্যমে ডাকাত চক্রটিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, ডাকাত চক্রের দলনেতা দুলালের বিরুদ্ধে পূর্বের ২৬টি মামলা আছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
Discussion about this post