নিজস্ব প্রতিবেদক
সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই সাথে আবদুল্লাহসহ তার পরিবারের ৭ জনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে বরিশালের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌরনদী আমলি আদালতে মামলার আবেদন করা হয়। মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির ইলিয়াস বালী।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- বরিশাল রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি হুমায়ুন কবির, সাবেক পুলিশ সুপার এহসান উল্লাহ প্রমুখ।
অন্যদিকে, বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই নেতাসহ তার পরিবারের ৭ জনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তি-মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।
বিএফআইইউ থেকে এ সম্পর্কিত নির্দেশনা সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মানি লন্ডারিং পরিপালন করা কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএফআইইউর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বিএফআইইউর নির্দেশনা অনুযায়ী- ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর পরিবারের অন্য সদস্যরা হলেন, তার প্রয়াত স্ত্রী সাহান আরা আবদুল্লাহ, হাসানাতের তিন ছেলে- এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক সেরনিয়াবাত মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ, সাদিক আব্দুল্লাহর স্ত্রী লিপি আব্দুল্লাহ ও তাদের পরিবারের আরেক সদস্য ফিরোজা সুলতানা।
যেসব হিসাব স্থগিত করা হয়েছে তাদের হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল- যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী যাবতীয় তথ্য চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে ২ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে। হিসাব স্থগিত করা ব্যক্তি ও তার ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের হিসাব আগামী ৩০ দিন স্থগিত থাকবে। স্থগিতকালীন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবে না। প্রয়োজনে হলে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় আরও বাড়ানো হবে।
Discussion about this post