আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। এর মধ্যে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে পড়ছেন। নতুন একাধিক জরিপে দেখা গেছে, গত মাসের তুলনায় এ মাসে তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে।
রোববার প্রকাশিত তিনটি জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে আলজাজিরা জানায়, হোয়াইট হাউস দৌড়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে ট্রাম্পের চেয়ে কমলা এগিয়ে থাকার বিষয়টি সংকুচিত বা একেবারে অদৃশ্য হয়ে গেছে। সর্বশেষ এনবিসি নিউজের জরিপে দেখা যায়, আগামী ৫ নভেম্বরের ভোট সামনে রেখে ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান প্রার্থীরা জাতীয়ভাবে ৪৮ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে সমান অবস্থায় আছেন। গত মাসে একই জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে হ্যারিস এগিয়ে ছিলেন পাঁচ পয়েন্টে। সর্বশেষ এবিসি নিউজ ও ইপসোসের জরিপেও কমলা এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্পের চেয়ে।
গত মাসে সিবিএস ও ইউগপের জরিপে কমলা ভোটারদের মধ্যে চার পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কমলা রিয়েল ক্লিয়ার পোলিংয়ের জরিপে মাত্র ১ দশমিক ৪ শতাংশ পয়েন্ট লিড ধরে রেখেছেন। দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে নতুন উদ্বেগ বেড়েছে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে। জানা যাচ্ছে, মার্কিন হিস্পানিক ও আফ্রো-মার্কিন ভোটারদের মধ্যে কলমার সমর্থন হ্রাস পাচ্ছে।
কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের সব বর্ণের নারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কমলা। তিনি আফ্রো-মার্কিনি, হিস্পানিকসহ পুরুষদের মধ্যে উৎসাহ জাগিয়ে তুলতে লড়ছেন। গত শনি ও রোববার প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমস/সিয়েনা কলেজের ভোটে কমলা ৭৮ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ ভোটার এবং ৫৬ শতাংশ হিস্পানিক ভোটারের সমর্থন আকর্ষণ করেছেন, যা ২০২০ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক মনোনীত প্রার্থীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
সিএনএনের বিশ্লেষণে বলা হয়, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রচার চালাচ্ছেন যে, তিনি আবার প্রেসিডেন্ট হলে যেসব কট্টর পদক্ষেপ নেবেন, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থার পরিবর্তন হবে এবং পুরো বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেবে। ডেমোক্রেটিক প্রার্থীর হাতে এ প্রলোভন মোকাবিলার জন্য আছে মাত্র কয়েক সপ্তাহ।
ট্রাম্প তাঁর অভিবাসনবিরোধী সুর জোরালো করেছেন। তিনি অভিবাসীদের ‘খারাপ জিন’ বলে বর্ণনা করছেন। ওহাইয়োতে ‘কমলার অভিবাসী’রা পোষা প্রাণীদের ধরে খেয়ে ফেলছে বলেও মিথ্যা প্রচারণা তিনি চালাচ্ছেন। রোববার আরিজোনায় এক সমাবেশে ট্রাম্প দাবি করেন, কমলা প্রেসিডেন্ট হলে পুরো যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসী শিবিরে পরিণত হবে।
Discussion about this post