নিজস্ব প্রতিবেদক
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র অধিকার পরিষদ।
এ ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থী ব্যানারেও মিছিল–সমাবেশ হয়েছে। ক্যাম্পাসের হল থেকে বের হওয়া এই মিছিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভিসি চত্বরে যায়, সেখানে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের মিছিলে স্লোগান ছিল ‘টু জিরো টু ফোর, আগ্রাসন নো মোর’, ‘ভারতীয় দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’।
রাত আটটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিন থেকে প্রথমে মিছিল বের করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। এই মিছিল রাজু ভাস্কর্যের সামনে যায়। পরে সেখানে সমাবেশ করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এরপর রাত ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল।
তিনি বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন। ভারত সরকারের ত্রুটিপূর্ণ সাম্রাজ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গির কাছে দেশের মানুষ বিপদগ্রস্ত। তিনি বলেন, ‘আমাদের লড়াইকে আজ ধর্মীয় লড়াই বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। একটি সুনির্দিষ্ট মতাদর্শের লোকেরা প্রমাণ করার চেষ্টা করছে এটা ধর্মীয় সংঘাত। তাদের উদ্দেশ্য এখানে অখণ্ড ভারত নামে একটা আজগুবি জিনিস কায়েম করা। এটা ইতিহাসে কখনও ছিল না। আমরা একত্র হয়ে আধিপত্যবাদ, সাম্রাজ্যবাদ রুখে দেবো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী আশরেফা খাতুন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই দিল্লির দালালি করে গেছে। বছরের পর বছর সীমান্ত হত্যা হয়েছে, কখনো চোখে চোখ রেখে বিচার চাইতে পারেনি। এখন নতুন বাংলাদেশ, বাংলাদেশে দিল্লির আধিপত্য আর বিস্তার করতে দেয়া হবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশের শেষের দিকে জগন্নাথ হল থেকে একদল শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে এসে সংহতি জানান।
জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থী সর্বমিত্র বলেন, এখানে কোনো ভারতীয় এজেন্ট থাকবে না, পাকিস্তানের এজেন্ট থাকবে না। ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসনের পর আমরা দেখতে পাচ্ছি, ভারতের চক্রান্ত বাংলাদেশকে বিব্রত করছে। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
Discussion about this post