নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে দেওয়া সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমাদের প্রেস উইংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র-ছাত্রী আছি তিনজন। স্বাভাবিক কারণেই ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আমাদের বাড়তি একটা কৌতূহল আছে।
কয়েকদিন আগে সবাই মিলে ঠিক করেছিলাম ডাকসু নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা দেখতে যাব। ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছি মাত্র- এমন সময় খবর এলো নির্বাচন স্থগিত। এই ঘটনায় যেকোনো মুহূর্তে ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে উঠতে পারে এমন একটা আশঙ্কায় সেদিকে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করতে হলো।
সময়টা কাজে লাগাতে গেলাম বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে। সাহিত্য কেন্দ্রের ছাদে সুন্দর একটা ক্যান্টিন আছে। সেখানে বসে সিঙ্গারা খাচ্ছিলাম। সিঙ্গারা বাসি ছিল। এ নিয়ে দুঃখ বোধটা মুহূর্তে উবে গেল, যখন জানলাম ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের আদেশটাই স্থগিত হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের আর ক্যাম্পাসে যাওয়া হয়নি, আবার কোন কুফা লাগে এই আশঙ্কায়।
আমার ক্যাম্পাস জীবনে ডাকসু ছিল ঐ ছাত্রীর মতোই যে কি-না ক’দিন আগে বলেছিল এটা তার কাছে কেবলই চা-সিঙ্গারা খাওয়ার জায়গা। এখানে যে নির্বাচনও হয় এটা সে জানতো না।
একবার মুহসীন হলে কিছু ছেলের ডায়রিয়া হয়েছিল। অনেক রাতে তাদের দেখতে এসেছিলেন মেয়াদ উত্তীর্ণ ভিপি আমানউল্লাহ আমান। চা-সিঙ্গারা বাদে সেটাই ছিল আমার জীবনের একমাত্র ডাকসু দেখা।
এবার তাই খুব করে চাইছি নির্বাচনটা যেন ভালোভাবে শেষ হয়। আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে নেতৃত্ব শূন্যতা তার বড় কারণ ডাকসুসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের অনুপস্থিতি।
ডাকসুতে এবার কে জিতবে জানি না। যারা হারবে আমি মনে করি তাদেরও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। হেরে যাওয়া মানেই হারিয়ে যাওয়া নয়।
নির্বাচনের ফলাফল যেমনই হোক, এই নির্বাচনসহ অন্য যেসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ক’দিনে যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে সেখানে যারা প্রার্থী হয়েছেন, তারাই আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতির হাল ধরবেন। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। সব প্রার্থীর জন্যই আগাম শুভকামনা রইলো।
Discussion about this post